মার্কিন সকল সৈন্য আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, একজন ভূ-রাজনীতিবিদ মনে করছেন- এই সুযোগে আফগানিস্তানে উপস্থিতি বাড়িয়ে দিতে পারে চীন। লন্ডনের লেখিকা জেসিকা তানিজা এ ব্যাপারে একটি কলাম লিখেছেন সম্প্রতি। কলামে তিনি উল্লেখ করেন, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছাড়াও চীন এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করছে। চীনের জন্য আফগানিস্তান একটি কৌশলগত জায়গা, যে জায়গার মাধ্যমে এশিয়ায় নিজেদের শক্তি সংহত করতে সক্ষম হবে চীন।

তিনি আরো মনে করেন, চীন এখন শান্তিরক্ষী হওয়ার এবং সহিংসতাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। তবে হুট করেই এই অঞ্চল নিয়ে চীনের আকর্ষণ দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। জেসিকা তানিজা বলেন, বহু বছর ধরে তালেবান এবং তার মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ায়, চীন দায়মুক্তভাবে কাজ করার এবং তালেবান নেতাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। তানিজা মনে করেন, তালেবান নিয়ন্ত্রিত জাতির প্রতি চীনা বাণিজ্য সহায়তার বিষয়টি এই অঞ্চলে শক্তিশালী প্রভাব ফেলবে। তালেবান নেতারা এই অঞ্চলের পুনর্গঠনের দিকে নজর দিলে, চীন দেশটিকে পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন সহায়তা দেবে। অবশেষে আফগানিস্তান নিজেদের ঋণের মধ্যে ডুবে যাবে এবং বেইজিং আফগানিস্তানের মূল সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেবে।

উইঘুরদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগের মধ্যেও চীন তার ভাবমূর্তি রক্ষার লড়াইয়ে উৎসাহ পাবে। কারণ হিসেবে তানিজা বলেন, উইঘুর নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে চীন সরকার সমালোচিত হলেও তালেবান এবং পাকিস্তান চীনের সমালোচনা করতে রাজি নয়। সূত্র: জাস্ট আর্থ নিউজ।